অবৈধ নিয়োগ বাতিলে হাবিপ্রবি প্রশাসনকে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৬

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সর্বশেষ কর্মকর্তা নিয়োগকে অবৈধ ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে তা বাতিল চেয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব প্রাপ্ত কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ এল তাজ ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবিরকে উক্ত লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সর্বশেষ নিয়োগে চাকরি প্রার্থী মো. জামান শাহ, শাতিল ইবনে শামসুদ্দিন ও মো. বেলায়েত হোসেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও দিনাজপুর জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মো. সাদিব গোলাম বিন নাসের এর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় বলে জানা যায়।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডের ভিন্ন ভিন্ন পদে নিয়োগের নিমিত্তে ২৬/০১/২০২০ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে www.hstu.ac.bd তে তৎকালীন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ফজলুল হক স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে চাকরি প্রত্যাশী লিগ্যাল নোটিশ দাতারাসহ অন্যান্য চাকুরী প্রত্যাশীরা নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করে এবং পূরণ করে যথাসময়ে হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পত্র জমা দেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকুরী প্রত্যাশীরা যথাসময়ে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডের ভিন্ন ভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৫৬ তম সভায় তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্ত্বে ৮ জুন ২০২৪, শনিবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি বহির্ভূত হবে চাকরি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের দোসরদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডের ভিন্ন ভিন্ন পদে বেআইনিভাবে জনবল নিয়োগ করেন।

নোটিশে আরো অভিযোগ করা হয়, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা অনৈতিকভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মেধা ও যোগ্যতা বিবেচনা না করে পছন্দ মতো অযোগ্য লোককে নিয়োগ দেন যার উদাহরণস্বরূপ উপসহকারী খামার তত্ত্বাবধায়ক পদে শর্তানুযায়ী কৃষি ডিপ্লোমাধারী নিয়োগ না দিয়ে ভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রিধারী ব্যক্তিকে উপসহকারী খামার তত্ত্ববোধক পদে নিয়োগ প্রদান করেছে যা সম্পূর্ণ বেআইনী। বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত বেআইনি নিয়োগের মাধ্যমে শত শত মেধাবী যোগ্য চাকরি প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে নজিরবিহীন দুর্নীতির ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির পনের (১৫) দিনের মধ্যে উক্ত নিয়োগ বাতিল বাতিল না করলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোথাও বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট সাদিন গোলাম বিন নাসের, লিগ্যাল নোটিশ প্রেরকগণের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। ২০২০ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা নিলেও চূড়ান্ত নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতি লক্ষ্য করা গেছে যেখানে পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ না করেই রিজেন্ট বোর্ড সভায় বেআইনি ভাবে জনবল নিয়োগ করা হয়, যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ফুয়াদ এল তাজ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লিগ্যাল অ্যাডভাইজর আছেন ওনার সাথে বসে আমরা ঠিক করব আমাদের করণীয়।

যাযাদি/ এম