স্থানীয়দের দাবির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় হল ত্যাগ করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকাল থেকে হল ত্যাগ করতে শুরু করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ক্যাম্পাসে স্থানীয় জনগণ মিছিল নিয়ে আবাসিক হলগুলোতে এখনো ছাত্রলীগ আছে এমন অভিযোগ এনে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ার আল্টিমেটামে দেয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা সংকায় হল ত্যাগ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ছাত্রলীগ মুক্ত করা হয়েছে। এরপর যারা হলে অবস্থান করেছে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অবস্থান করেছ। এরপরেও ছাত্রলীগের দালাল দাবি করে হল ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া সত্যিই হতাশাজনক।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াজ মিয়া বলেন, আমার কাছে খবর আসে যে স্থানীয় জনতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এখনও ছাত্রলীগের দোসর আছে এমন অভিযোগ এনে হল ত্যাগের দাবি জানিয়ে আবাসিক হলের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় সিটি কর্পোরেশনের আওতায় তাই আমি যাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দলীয় রাজনীতির বিপক্ষে বলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শাবি সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিবকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাজেদুল করীম বলেন, আমি আাবসিক হলে গেলে শিক্ষার্থীরা দুটি দাবি তুলে ধরে। শিক্ষার্থীদের দাবি তারা যেন নিরাপদে বের হতে পারে এবং যাদের জিনিসপত্র এখনো রয়েছে সেসব যেন সুরক্ষিত থাকে । আমরা সমন্বয়ক এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্নেলকে এ ব্যাপারে জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, শাবির ছেলেদের তিনটি আবাসিক হলের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেকে এখনও বাড়িতে অবস্থান করতেছেন।

যাযাদি/ এসএম