সচিবালয় ঘেরাও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দেওয়ার পরে আনসাররা সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অবরুদ্ধ করে রাখে। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে সচিবালয়ের গেটে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আজ ঐক্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আনসারদের সব দাবি-দাওয়া মেনে নেব বলে আশ্বাস দিয়েছিলাম। এর জন্য আমরা সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু এরপরেও তারা সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে ছাত্ররা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এটা একটা বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে আনসার সদস্যদের একাংশ। গতকাল রোববার সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন তারা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আবারও আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় আনসার সদস্যরা।
হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতাও লাঠি হাতে নেমে পড়েন। ছাত্র-জনতার ধাওয়া খেয়ে সচিবালয় এলাকা ছেড়ে যান আনসার সদস্যরা। এসময় সেনাবাহিনী সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নিলে পরিবেশ শান্ত হয়। প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ উপদেষ্টা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুক্ত হন।
যাযাদি/ এস