চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে আনসার সদস্যদের একাংশ। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয়করণের জন্য কমিটিও গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু সরকারের কমিটি গঠনের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে রাজধানীর সচিবালয় ঘেরাও করেন তারা। এ সময় সেখানে আটকে পড়েন সরকারের উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজনকে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে এগিয়ে যান তারা। এরপর দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে আনসার সদস্যরা অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পালিয়ে যান।
এর আগে রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে ফেবুকের এক ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন— সচিবালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের মারধর করা হচ্ছে। পরে ওই বার্তায় তিনি শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাসনাত আব্দুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা হন। পরে সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এর আগে সচিবালয়ে আনসারের একদল সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রাখেন।
পরে হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে শিক্ষার্থীদের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের দালাল’ আনসার সদস্যদের প্রতিহত করতে মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় যান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে রাত পৌনে ১০টার দিকে আনসার সদস্যরা পিছু হটে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের পাশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
যাযাদি/ এস