প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনায় জাবি প্রশাসনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৪, ২২:৪৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানার নিজ কক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনায় তার কাছে লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
শুক্রবার (০২ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) আবু হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'বাংলা বিভাগের সভাপতির কক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে দেখেছি। তার প্রেক্ষিতে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত ঘটনার বিষয়ে অধ্যাপক শামীমা সুলতানার লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে সিন্ডিকেট।'
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের হত্যা, হামলা, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে নিজ কার্যালয় থেকে তার ছবি সরিয়ে ফেলেন।
সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, আমি ল'ইয়ারের সাথে কথা বলবো। আমি এটা কতটুকু মেনে নিবো বা মেনে নেয়ার প্রক্রিয়াটা কি হবে৷ আমি আমার জায়গায় স্বচ্ছ। আমার বক্তব্যে অটল থাকবো৷ যার হাতে আমার সন্তানের রক্ত, তার ছবি আমি লাগাবো না৷ এখানে যখন সিন্ডিকেট বসেছে তখনও আমার সন্তানের রক্ত ঝরেছে৷ সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমার সন্তানদের রক্তাক্ত করছে৷
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীদের কার্যালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
যাযাদি/এস