আগামীকাল শনিবার (৩ আগস্ট) সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি’ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা করছি, আগামীকাল সারা দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, প্রতিটি জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। আগামীকালের পর থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন পালিত হবে।’
তিনি বলেন, কালকের পর থেকে এ সরকারকে কোনো ট্যাক্স দেওয়া হবে না। এ সরকারের কোনো অফিসে যাওয়া হবে না। সরকারকে সর্বাত্মক অসহযোগিতা করা হবে।
সব নাগরিককে রাস্তায় নেমে আসার আহবান জানিয়ে হান্নান আরও বলেন, সারা দেশের ছাত্র-নাগরিক, অভিভাবক, মা-বোন যে যেখানে আছেন আগামীকাল থেকে প্রত্যেকে রাজপথে নেমে আসবেন। কেউ বাড়িতে বসে থাকবেন না। এটা আপনাদের দায়বদ্ধতা, প্রতিটি শহীদের প্রতি আপনাদের এই দায়বদ্ধতা আছে।
সারাদেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহবান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহŸান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, “আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।
কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।
যাযাদি/ এসএম