কর্মসূচি ঘোষণা করা রাত ১০ টার পর। আর রাত ১২ থেকে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে কর্মসূচি পালন করতে শুরু করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালের দিকে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য লাল কাপড়ে সয়লাভ হয়ে যায়।
জানা যায়, সরকারের ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তুলে, কেউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাইট অ্যাপস ব্যবহার করে, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রোফাইলে সম্পূর্ণ লাল রঙের ছবি দিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের। অনেক তারকাকেও প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করতে দেখা গেছে।
সোমবার (৩০ জুলাই) রাতে আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়ে যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, তখনো শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো মধ্য রাতে বাসা-বাড়িতে রেইড ব্লকের মাধ্যমে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে প্রতিদিনই নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের দমন নিপীড়ন ও মানুষের জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং মিডিয়ার সামনে দেওয়া সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মায়া কান্না প্রচার করছে’।
‘’রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রতিদিন যে নির্মম উপহাস করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শোক প্রত্যাখ্যান করে আগামীকাল লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে ব্যাপক প্রচার কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ করছি’।
যাযাদি/ এস