কোটা সংস্কার আন্দোলন এক রকম থেমে গেলেও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অবরোধ, শাটডাউন ও বিক্ষোভ-মিছিলে ফ্রন্টলাইনে থাকা শিক্ষার্থীরা। দেশব্যাপী সংঘাত-সংঘর্ষ ও বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন এ শঙ্কায় বাসাবাড়িতে থাকতেও সাহস পাচ্ছেন না তারা। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।
অন্যদিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার পর সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে আন্দোলনে সক্রিয় থাকা সন্তানরা ক্লাসে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় পার করছেন অভিভাবকরাও। তাদের আশঙ্কা, শুধু গ্রেপ্তারই নয়, আন্দোলন বিরোধী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীও সুযোগ বুঝে তাদের ওপর চড়াও হতে পারে। বিশেষ করে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী যারা হামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন, তারা প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে এ শঙ্কা অনেকের মনেই জেঁকে বসেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সংঘাত সহিংসতা থেমে গেলেও আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা ভয়ে আছেন। কেননা দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা নাশকতা ও সংঘর্ষের মামলায় গত কয়েকদিনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অনেকের বাসাবাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। অন্যত্র আত্মগোপনে থাকা শিক্ষার্থীদের না পেয়ে পুলিশ তাদের আত্মীয়স্বজনদের হয়রানি করেছে। আবার বেশকিছু জায়গায় আন্দোলনে সক্রিয় থাকা শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা চড়াও হয়েছে। এসব বিষয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেও কোনো লাভ হয়নি।
ওই সমন্বয়কের দাবি, দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হওয়ার পর তাদের নিজেদের মধ্যকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করা হলেও তারা নিজেদের মধ্যে আগের মতো সমন্বয় করতে পারছেন না। সংকটকালীন এ সময়েই শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নাহিদ ইসলামসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার কথা বলা হলেও সহিংসতার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে বলে ঊর্ধŸতন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। যা তাদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় সংঘটিত যে কোনো নাশকতা কিংবা সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা জানান, গত ২৩ জুলাই গুলশানে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রীর আশ^াস দিয়েছিলেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হলে, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার। পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা এবং শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখা হবে। আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যদি কোনো শিক্ষার্থী মামলার শিকার হন, সেক্ষেত্রে কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।
তবে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের স্বজনদের অভিযোগ, তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। এ ব্যাপারে তারা সরকারের কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা পাননি, পেলে দেখা হবে- এ ধরনের কথা বলে অভিভাবকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিভাবকদের দাবি, এখন পর্যন্ত কত শিক্ষার্থীকে আন্দোলন চলাকালে সংঘাত-সহিংসতা ও নাশকতার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছে না থাকলেও এখন পর্যন্ত এ সংখ্যক ৩শ’য়ের কোটা ছাড়িয়ে গেছে।
তাদের এ ধারণা যে অমূলক নয়, তা যায়যায়দিনের স্থানীয় প্রতিনিধি, থানা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান গেটে সহিংসতার ঘটনায় আটক ৩৮ শিক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এদিন সকালে তাদের মহানগর হাকিম চতুর্থ আদালতের বিচারক উম্মে হাবিবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তাদের ওই মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীরা সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ও জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কুমারগাও বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ ও জ্বালাও পোড়াওয়ের অভিযোগ এনেছে।
সিলেট আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই ওই শিক্ষার্থীদের জিডি মূলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। ছয়দিন পর অর্থাৎ ২৫ জুলাই তাদের নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে ২০ জুলাই অজ্ঞাতনামা আড়াই থেকে তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় এই মামলটি করে পুলিশ।
এদিকে অনলাইনে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র আল শাহরিয়ার প্রান্তকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ। তাকে চুয়াডাঙ্গার কাঠপট্টি এলাকায় নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেকেন্দার আলী প্রান্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলের কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ ২০ জনের নামে মামলা করেছে ছাত্রলীগ। নগরের মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে ১৭ জুলাই মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম। এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা না হলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় আসামির তালিকায় থাকা ওই ১৫ শিক্ষার্থী এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নবীন রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী, অর্থনীতি বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাগর ও ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিরনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলাটিতে আরও ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থী নয় বলে জানা গেছে। মামলাটিতে অজ্ঞাত অনেক কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শুধু বিশ^বিদ্যালয় কিংবা কলেজের নয়, স্কুল শিক্ষার্থীদেরও কোটা আন্দোলনকেন্দ্রিক সংঘর্ষ, নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসিন্দা গার্মেন্টসকর্মী রেহেনা বেগম শুক্রবার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জানান, তার নবম শ্রেণিপড়ুয়া সন্তান আমির হামজাকে বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেখেরটেকের ১২ নম্বর রোড থেকে আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে আটক করা হয় দশম শ্রেণির ছাত্র নাইম ইসলামকে। তাদের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় নাশকতার মামলা দিয়েছে পুলিশ। তবে আমিরের বাবা কাওসার মিয়ার দাবি, তার ছেলে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশ যখন তার ছেলে আমির ও নাইমকে গ্রেপ্তার করে এসময় তারা দু’জন একসঙ্গে মোবাইল ফোনে খেলছিল। তবে পুলিশের অভিযোগ, আমির হামজার মোবাইল ফোনে অপরাধমূলক মেসেজ পাওয়া গেছে।
শিশু শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের বিষয় জানা নেই দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি এখনো আমার নজরে আসেনি। নিশ্চিত করে না জেনে কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা কোয়ালিটি অ্যারেস্ট করতে বলেছি। অর্থাৎ ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে বা এলাকার লোকজন যাদের দেখেছে, তাদের অ্যারেস্ট করতে বলেছি। তবে কিছু অল্প বয়সি ছেলেমেয়েকে ওরা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেটা সবাই দেখেছে। এদের অধিকাংশ কিশোরগ্যাং; এরা লেখাপড়া করে না।’ এদিকে নিরীহ শিক্ষার্থী ও নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার দূরে থাক, কোনো ধরনের হয়রানিও করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযানে কোনো নিরপরাধ মানুষ গ্রেপ্তার হওয়ার সুযোগ নেই। কোনো এলাকায় ব্লকরেইড দেওয়ার সময় অনেককে পুলিশ ধরে আনলেও যাচাই-বাছাই শেষে নিরপরাধ মানুষকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদেরই গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শুধু যারা সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সহিংসতায় জড়ায়নি। যারা সহিংসতা চালিয়েছে, আমরা তাদের খুঁজে বের করছি। কোনো শিক্ষার্থী যদি সহিংসতায় না জড়িয়ে থাকে, তাহলে তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই।’
ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নিরীহ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করার কোনো নজির নেই। কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যাতে আর হয়রানি না করা হয় এবং বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে এ সংগঠনটি।
সুজনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের উচিত কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ মানুষ কেন এত ক্ষুব্ধ তা উপলব্ধিতে আনার চেষ্টা করা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে যে জন-বিস্ফোরণ হয়েছে তা রোগের উপসর্গমাত্র- মূল রোগ হলো ভোটাধিকার থেকে শুরু করে জনগণের অন্যান্য নাগরিক অধিকার না পাওয়ার বঞ্চনা। তাই, স্থায়ীভাবে সংকটের নিরাময় ঘটাতে হলে উপসর্গের নয়, রোগের চিকিৎসা আবশ্যক।
এদিকে গ্রেপ্তার আতঙ্ক ও নিরাপত্তা শঙ্কায় আন্দোলনে যোগ দেওয়া হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকার ঘরবাড়ি, মেস ও ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সরাসরি আন্দোলনে অংশ না নিলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থন জানিয়েও অনেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তাদের অভিযোগ, এ ধরনের শিক্ষার্থীদেরও খুঁজে খুঁজে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। অনেকের বাসায় পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুকে আন্দোলনের সমর্থন জানানোয় স্থানীয় ছাত্রলীগের হাতে মারধরের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। ফলে তাদের অনেকেই নিজের গ্রামে ফিরে গেছেন। কেউ কেউ বন্ধু ও স্বজনদের বাসায় অবস্থান করছেন।
রামপুরা এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, তার বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান আন্দোলন চলাকালে বাসা থেকেও বের হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একাধিক পোস্ট দিয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ বাসার সামনের এক দোকানে তার মোবাইল ফোন চেক করে এসব পোস্ট দেখার পর তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছে।
যাযাদি/ এস