আবাসিক হল না ছাড়ার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্যাম্পাসে মাইকিং করছেন কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীরা। অনেক হলে ভেতর থেকে তালা দিয়ে বাধা সৃষ্টি করছেন তারা। পাশাপাশি তারা ক্যাম্পাসে সভা ডেকেছেন।
সকালে হবিবুর রহমান হল মাঠে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা সভা করে। সভা শেষে মিছিল নিয়ে তারা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে হল না ছাড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান জানায়। পরে তারা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে প্রায় আঘা ঘন্টা অবস্থান করে তারা। এর পর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের গেটে অবস্থান নিয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এক শিক্ষার্থী জানান, কারও নির্দেশনা বা ভয়ে হল ছাড়বো না। আমরা হলেই অবস্থান করবো। দুপুর পর্যন্ত পাঁচ ভাগ শিক্ষার্থী হল ছেড়েছে। বাকিরা হলেই অবস্থান করছে বলে দাবি তার।
বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাবি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুপুর ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পরে রাত একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে দুপুর ১২ টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। ফলে সকাল থেকে প্রত্যেক হলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে রওনা দেন বাড়ির উদ্দেশে।
সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে দেখা যায়, ছাত্রীরা যার যার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বন্ধুবান্ধবসহ ক্যাম্পাস ত্যাগ করছেন।
আমজান হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কোনও নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তাই তারা এভাবে ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিয়েছেন। রাতে আবাসিক হলগুলোতে প্রাধ্যক্ষদের অবস্থান করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ হলেই তাদের দেখা যায়নি। তাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
যাযাদি/ এস