জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সকল শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল দশটায় টায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্তের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান স্বাক্ষরিত ঐ অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৪-০৭-২০২৪, ১৫-০৭-২০২৪ ও ১৬-০৭-২০২৪ তারিখে কোটা আন্দোলনের কারণে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।
একইসাথে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ১৭-০৭-২০২৪ তারিখ বিকাল ৪:০০ টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো।
এদিকে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় রেজিস্ট্রার ভবনের চারপাশে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য সহ সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষকদের অবরোধ করে রাখেন। শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৫ জুলাই রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগ কতৃক অতর্কিত হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত হল বন্ধ ঘোষণা করা যাবে না। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের দুপাশে গেটে তালা মেরে রাখেন। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করা পর্যন্ত রেজিস্ট্রার ভবন অবরোধ করে রাখবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত জাবিতে তিন প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই জাবি শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলার বিচার চেয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে নারাজ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
যাযাদি/ এস