ক্যাম্পাসে লাশ আনতে আল্টিমেটাম, বুক পেতে দিলেন সাঈদ, লাগল ৩ রাউন্ড গুলি

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২৪, ২৩:১০ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ২৩:১২

গাজী আজম হোসেন, বেরোবি প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় আবু সাইদের নামে ১ নং গেটের নামকরণ করে তারা।

এদিকে মৃত্যুর আগে আবু সাঈদ পুলিশ ও ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা আর গুলি ছুড়বেন না।’ এরপর দু’হাত তুলে বলেন, ‘আপনারা আমাকে গুলি করেন।’ সাথে সাথে ১ নম্বর গেট থেকে পুলিশ তিন রাউন্ড ছররা গুলি ছুড়লে মাটিতে পরে যান আবু সাঈদের। শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় তার। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।


নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ায়। তিনি ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র।

আজ সোমবার (১৬ জুলাই) ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠে বেরোবি ক্যাম্পাস। এই ঘটনা জানাজানি হলে পুরো ক্যাম্পাস দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। 

আন্দোলনকারী শিক্ষর্থীরা জানায়, আমরা আন্দোলনকারীরা রংপুর শহর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেটে অবস্থান নিলে পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল রাবার বুলেট ছুরে। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আহত সাইদ কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্য রত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। আমরা আমাদের শহীদ ভাই সাইদের নামে ১নং গেট নামকরণ করতেছি। 

এই গেট আজ থেকে আবু সাইদ গেট। সেই সাথে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ভাইয়ের লাশ ক্যাম্পাসে আনতে হবে। আমরা আবার আগামীকাল সকাল ১০টায় আবু সাইদ গেটে জরো হয়ে আমাদের ভাইয়ের লাশ মেডিকেল থেকে ছিনিয়ে আনবো। 

যাযাদি/ এস