নতুন কর্মসূচি ঘোষণা : কোটা সংস্কার আন্দোলন থামবে না
প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ২৩:১২
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হামলা, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটা বাতিলের এক দফা দাবিতে সারা দেশে আগামীকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরও যদি কোটা বাতিল করা না হয় তবে পরে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আজ পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের এনে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর থাকার পরও বহিরাগতরা কীভাবে হামলা করে? সরকার সহিংসভাবে এই আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে। কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বলতে চাই অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্র সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
আগামীকালের আন্দোলনে সারা দেশের মানুষকে নেমে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
এ সময় কোটা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, সারা দেশে মর্মান্তিকভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হলো। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এরআগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারদের উপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ৩৫০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলায় আহত হন বাংলা বিভাগের ছাত্র মাহিন, পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ইয়াকুব,ছাত্র ফেডারেশনের নেত্রী উমামা ফাতেমা সহ অন্তত ৩৫০ জন। আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ভিসি চত্বরের সামনে আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দুপুর ১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা।
পরে বিকেল ৩টায় একই স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগ।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে কোটা আন্দোলনকারী নেতারা মাইকে ঘোষণা করে বলেন, 'আমাদের ওপর যদি আক্রমণ হয়, তাহলে আমরা পাল্টা আক্রমণ করব। আমরা পিছু হাঁটব না।'
পরে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের ভিসি চত্বর এলাকায় যেতে বলা হয়।বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়।
যাযাদি/ এস