ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে লাশ কাটছে আবদুর রহিম বাদশা। লাশ কাটাই তার পেশা। জীবনের সাথে একাকার হয়ে গেছে লাশ ও মর্গ।
তিনি ফেনী ও আশ-পাশের জেলার হাজার-হাজার লাশ কেটে ময়নাতদন্তে সহযোগিতা করেছেন।আবদুর রহিমের বাড়ী বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানার টিবি হাসপাতাল রোড এলাকায়। বর্তমানে সে শহরের সুলতান পুর এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন।
আবদুর রহিম ফেনীর ফটো জর্নালিস্ট দুলাল তালুকদারকে তার জীবনের দুঃখের কাহিনী জানাতে গিয়ে বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে নিয়মিত আমাকে লাশকাটার কাজটি করতে হয়। ফেনী জেলাসহ আশ-পাশের উপজেলাগুলো থেকে নিয়মিত জ্ঞাত-অজ্ঞাত লাশ আসে হাসপাতাল মর্গে।
তখনই ডাক পড়ে আমার। আমি প্রায় ৬ হাজারের মতো লাশ কেটেছি।কাজটা করেই যেহেতু আমাকে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়, সেজন্য যতই কষ্টকর হোক আমি কাজটি করে থাকি। জানাগেছে আবদুর রহিম দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত অস্থায়ী ভিত্তিতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ডোমের কাজটি করছেন।
রহিম আরো বলেন, মানবতার সার্থেই কাজটি করি আমি, তবে দীর্ঘদিন ধরে এ মর্গে কোন স্থায়ী ডোম নেই। কাজটি না করলে পরিচিত-অপরিচিত লাশগুলোর কি অবস্থা হতো চিন্তা করুন।
আমি দীর্ঘদিন ধরে চাকরি স্থায়ী করণের দাবী করে আসছি কিন্তু কোন লাভ হয়নী।যদি আমার চাকরিটা স্থায়ী করা হয় তাহলে আমি আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে কোন ভাবে বাঁচতে পারবো। আমরাও চাই আব্দুর রহিমের চাকুরিটা স্থায়ীকরণ করা হোক।
যাযাদি/ এস