রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

মধ্যরাতে ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৮
ছবি-যায়যায়দিন

গতকাল রোববার মধ্যরাতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি ক্যাম্পাসের হলে হলে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে।

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

রোববার (১৪ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলসহ প্রত্যেকটি হলের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে তারা চরম ক্ষুব্ধ। এর প্রতিবাদ জানাতেই তারা বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

এই প্রতিবাদ মিছিলে ‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, সরকার সরকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাবির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছি। আজকে প্রধানমন্ত্রী ‘রাজাকারের নাতি’ বলে যে মন্তব্য করেছেন, এর মাধ্যমে আমাদের অপমান করা হয়েছে। তাই এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ মিছিল করছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী ভিসি চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। এছাড়া রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হলের গেট ভেঙে মিছিল নিয়ে বের হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে যান। সেখান থেকে তারা শামসুন্নাহার হলের সামনে যান। পরে দুই হলের শিক্ষার্থীরা মিলে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসেন। সুফিয়া হল থেকেও শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে অবস্থান নেন। তারা মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশরেফা বলেন, রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা এলে আমাদের হলের গেট খুলে দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এখন যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে, এটা আমরা ডাকিনি। শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে হলের গেট ভেঙে এসে এই বিক্ষোভ করছেন।

গতকাল রোববার বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে? এটি দেশবাসীর কাছে আমার প্রশ্ন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে