সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এসময় আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশে যোগদান করেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, যারা পরিশ্রম ছাড়া আমলাতন্ত্রে যাচ্ছে, তারা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না। তাই সারা বাংলায় মেধার ভিত্তিতে আমলাতন্ত্র গড়ে তুলতে কোটা সংস্কার করা হোক।
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যে দাবি জানানো হয়েছে তা যৌক্তিক। ৬২ হাজার ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের কথা ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকরি লাভ। তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতেই এই বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা চাই সমতার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য কোটা পদ্ধতি। ২০১৮ সালে তারা সমস্যার সমাধান না করায় এখন এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা কৌশলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছে। ৬২ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা গোষ্ঠী এই সুযোগ নিচ্ছে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে এগুলো করা হচ্ছে। এজন্য মেধাভিত্তিক বৈষম্য মুক্ত একটা আমলাতন্ত্র তৈরি করা উচিৎ।
উল্লেখ্য, ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করা।
যাযাদি/ এসএম