বাংলা ব্লকেডে স্থবির ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক 

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৭:৩৪

জাবি প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

কোটাব্যবস্থা সংস্করণ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো 'বাংলা ব্লকড' কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ অবরুদ্ধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচি চলবে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত।

শুরুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে হাইওয়ে পুলিশ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে তাদেরকে বাধা দেন এবং জরুরি গাড়ির জন্য একটি ইমার্জেন্সি লেন রাখতে বলেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের শর্ত মেনে নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যান৷

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, আমরা একটি কথা বারবার বলে আসছি, যতদিন না কোটা প্রথা সংস্কার করা হচ্ছে, ততদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচল অবস্থায় থাকবে। সেই সাথে জেলা শহর, উপজেলা শহরেও আমাদের আন্দোলন ছড়িয়ে যাবে। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুতই এই কোটা সংস্কার করবে এবং শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে যেতে উদ্বুদ্ধ করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই কোটা আন্দোলন অযৌক্তিক! তাহলে ২০১৮ সালে কেন সেটা সংস্কার করেছিলেন? 

বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন কোনো অযৌক্তিক আন্দোলন নয়। এটা একটি যৌক্তিক আন্দোলন। আপনারা জানেন গতকাল বিপিএসসির বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তাই আমাদের দাবি হচ্ছে সকল প্রকার অন্যায়, অনিয়ম ও বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে হবে এবং যতদিন না এসকল দাবি পূরণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এদিকে অবরোধ চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুপাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। তবে এসময় বেশ কয়েকটি রোগী বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা৷ 

বগুড়া থেকে আসা বাস যাত্রী আকাশ আহামেদ বলেন, যে আন্দোলন চলছে তা যৌক্তিক আন্দোলন। কোটা প্রথার ফলে বিভিন্ন সময় মেধাবীরা তাদের প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই ভোগান্তি সামান্য। কারণ, এটি একটি জাতীয় আন্দোলন। তাই সাময়িকভাবে এটা মেনে নিতে হচ্ছে।

যাযাদি/ এম