যবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৬:৪০

যবিপ্রবি প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিন যবিপ্রবির সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাময়িক সময়ের জন্য যশোর-চৌগাছা স্বাধীনতা সড়ক অবরোধ করে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান রাস্তাসমূহে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের নিচে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে আজকের কর্মসূচি শেষ করে। এসময় আন্দোলনকারীরা আগামী সাত দিনের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ও সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমাদের এ কোটা বাতিল আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন। যৌক্তিক এ দাবির বাস্তবায়ন না হলে আমরা থেমে থাকব না। দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান 'কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন সম্মিলিত কণ্ঠে।

উল্লেখ্য, এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে মূলত হাইকোর্টের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের পর থেকে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে (৫৬ শতাংশ) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে টানা সাড়ে পাঁচ বছর কোনো কোটা ছাড়াই নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ হয়। ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ার অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন।৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে শুরু হতে থাকে নানা আলোচনা-সমালোচনা এবং বিক্ষোভ ও আন্দোলন। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের শুনানিতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়নি। আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।

যাযাদি/ এম