রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১

চতুর্থ দিনের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় 

চবি প্রতিনিধি
  ০৪ জুলাই ২০২৪, ২১:৪৯
ছবি-যায়যায়দিন

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমথ বাতিলের দাবিতে আজ টানা চতুর্থ দিনের মত কর্মবিরতি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ৷ শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ফলে সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে ও কর্মচারী সমিতি প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি পালন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমাদের সুনির্দিষ্ট তিনটি দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের চলমান রয়েছে। গতকাল আমাদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে একটা নিউজ এসেছে যে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে একটি বৈঠকের কথা থাকলেও তা স্থগিত হয়েছে। আমাগী শুক্রবার ও শনিবারের মধ্য আমাদের জন্য পজিটিভ কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটা অস্বীকার করার কিছুই নেই, কিন্তু আমরা একটা কথা বারবার বলতেছি যে দাবিগুলো দিয়েছি প্রকৃত পক্ষে আমরা যারা এখন শিক্ষকতা করছি আমাদের স্বার্থের কোন ক্ষতি হচ্ছে না তা আমরা প্রজ্ঞাপনে দেখতে পাচ্ছি।

তবে ভবিষ্যতে যারা শিক্ষকতা পেশায় আসবে তারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। শিক্ষার্থীদের যেটুকু ক্ষতি হচ্ছে আমাদের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসলে প্রশাসনের সাথে কথা বলে অতিরিক্ত ক্লাস, এসাইনমেন্ট, অনলাইন ক্লাস ইত্যাদি দিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদেকে ক্ষতিটা পুষিয়ে দিব।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এবিএম আবু নোমান বলেন, এই পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ আমাদের শিক্ষকদের অনেক ক্ষতি করবে।

এছাড়া শিক্ষকদের সুপারগ্রেডে যাওয়ার বিষয়টিও সুরাহা হয়নি। আমরা শিক্ষকদের জন্য একটা আলাদা বেতন স্কেল চাই। শিক্ষার্থীদের ক্ষতির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা কখনো শিক্ষার্থীদের ক্ষতি চাই না। আমাদের দাবি পালন হলেই কর্মবিরতি থেকে ফিরে আসব।

চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি সুমন মামুন বলেন, 'সরকার যে প্রত্যয় স্কিম চালু করেছে সেটাতে যে সামাজিক সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে তাতে বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। একই প্রতিষ্ঠানে দুই ধরনের নিয়ম থাকায় তা আমাদের জন্য হুমকি হতে পারে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো এই চলমান পেনশন বাতিল করা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয় চলার একটা নিজস্ব কাঠামো আছে, কেন আমাদের এখানে হাত দিবেন? আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।' কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে