শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে জাবি শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি
  ০৩ জুলাই ২০২৪, ২২:২৫
ছবি : যায়যায়দিন

কোটা পুনর্বহালের অন্যায্য সিদ্ধান্ত বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ ও মহাসড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) বেলা তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এসময়, ‘লাখো শহীদের বাংলায়, কোটা প্রথার ঠাঁই নাই’। ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’। ‘লাখো শহীদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’। আর না! আর না, মেধাবীদের কান্না’। সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’। কোটা নাকি মেধা? মেধা মেধা! সহ বেশ কয়েকটি স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মেধাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সরকারের এটি একটি চক্রান্ত। তারা বাংলাদেশকে মেধা শুন্য করতে চায়। একটি জাতিকে পিছিয়ে পরার জন্য এই বৈষম্য সৃষ্টি করেছে সরকার। আমরা ছাত্র সমাজ কখনো এই বৈষম্য মেনে নিবো না। আমরা চাই ২০১৮ সালের মতো এই আন্দোলন সফল হোক।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ সিফাত বলেন, আজকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটেছে একটি যৌক্তিক দাবিতে। এই দাবি পূরণ না হওয়ার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকবে। বাংলার ছাত্র সমাজ জেগে উঠেছে। ২০১৮ সালের রায় যদি পুনর্বহাল না রাখা হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। বাংলার ছাত্র সমাজকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আগামীকাল হাইকোর্টের রায় ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে গেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করা হবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, অবরোধ চলাকালে ঢাকা-১৯ আসনের এমপি সাইফুল ইসলামের গাড়ি আটকে গেলে তাকে যেতে দেয়নি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় এমপি সাইফুল ইসলাম পায়ে হেঁটে কিছুদূর গিয়ে অন্য আরেকটি গাড়িতে স্থান ত্যাগ করেন। এসময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অবরোধের কারণে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন অধিকাংশ যাত্রীা। তবে এসময় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশতম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৫% কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে রায় দেয় হাইকোর্ট।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে