বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার অংশ হিসেবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে স্থায়ী সনদ প্রদান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনাড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (বিএন) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (এলপিআর) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারপারসনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, মানসম্মত শিক্ষা, দৃষ্টিনন্দন গ্রিন ক্যাম্পাস, আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠসহ শিক্ষা প্রদানসংক্রান্ত সব সুবিধা নিশ্চিত করেই স্থায়ী সনদ পেয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি।
এ অর্জন অহংকারের, গৌরবের। আমরা যে মানসম্মত গ্রাজুয়েট তৈরি করছি, তারই ফসল এই স্থায়ী সনদ। এর মধ্য দিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গতা অর্জন করেছি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থায়ী সনদ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় অর্জন; এটি আগামীতে গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
এ সময় স্থায়ী সনদপ্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। পরে কেক কেটে সনদপ্রাপ্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করেন পুরো বিশ্বদ্যিালয় পরিবার।
এর আগে ১ জুলাই এক চিঠির মাধ্যমে সনদপ্রাপ্তির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মতামত অনুযায়ী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১০ ধারা মোতাবেক গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে এ সনদ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পাঠদান চলছে। রয়েছে হোস্টেল সুবিধা, ইনডোর গেমসসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, চীন এবং ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ ছাড়াও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে নামকরা অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
ইউএস-বাংলা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সিজিপিএ ও ইংরেজিতে দক্ষ হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসহ গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে চাকরি পাচ্ছেন গ্রিনের গ্রাজুয়েটরা।
যাযাদি/ এম