শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রমে। একাডেমিক ব্যস্ততার জায়গাগুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষকরা আহ্বান না করায় শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না ক্লাসে, হচ্ছে না কোনো পরীক্ষা।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে একাডেমিক ভবনগুলো খুললেও কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষা কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা আসলেও তারা অলস সময় পার করছেন।
জানা যায়, সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এ কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিজন মোহন চাকী বলেন, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ জারিকৃত ‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন কার্যকর না হওয়ায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বেরোবিতে সকল ক্লাস, পরীক্ষা, সমন্বয় সভা, ভর্তি কার্যক্রম ও প্রভোস্ট অফিস বন্ধ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ আমাদের তিন দফা দাবি মেনে না নিবে, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে আমরা শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করব।
যাযাদি/ এসএম