কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ১৩:৩৬

ঢাবি প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

আদালতের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।একই সাথে রাজপথে এবং আদালতে লড়াইয়ের মাধ্যমে কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা।

আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে 'বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজ' এর ব্যানারে আয়োজিত এক  মানববন্ধন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই হুঁশিয়ারী দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের ছাত্র জালাল আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা কলেজের ছাত্র নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আহবায়ক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্র বিন ইয়ামিন মোল্লা, আইন বিভাগের ছাত্র তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র আসাদ বিন রনি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের  ছাত্র সানাউল্লাহ শতাধিক শিক্ষার্থী।


হাসান আল মামুন জানান, "যে কোটা ব্যবস্থা ২০১৮ সালে কবর দেওয়া হয়েছে, কোনভাবেই সেটা ফিরিয়ে আনা যাবে না। কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনলে মেধাবীরা যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবে না। আদালতের রায় আদালতে মোকাবেল করতে আমরা আপিল করবো"।


জালাল আহমদ জানান  "কোটা ব্যবস্থা নিয়ে কোন  ছল- চাতুরী চলবে না। আমাদের আজকের এই প্রতিবাদ আদালতের বিরুদ্ধে নয়।আমাদের প্রতিবাদ একটি মীমাংসিত বিষয় কে  যারা আদালতে নিয়ে গেছেন , তাদের বিরুদ্ধে। আমরা উচ্চ আদালতে  আপিল করে সে রায়ের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেব। 

কোটা ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক কোটা ব্যবস্থা। রাজপথে এবং আদালতে লড়াইয়ের মাধ্যমে কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া হবে।শুধু ফেসবুকে প্রতিবাদ করলে হবে না।রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে"।


বিন ইয়ামিন মোল্লা জানান, "কোটা ব্যবস্থা  আমাদের  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। কোটা ব্যবস্থা আমাদের সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে আমরা আবারও ২০১৮  সালের মতো রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো"।  

যাযাদি/ এস