চ্যাম্পিয়ন বেরোবির ইমপ্যাক্ট হ্যাকস্কোয়াড

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৪, ১৪:১৬

বেরোবি প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

বিশ্ব ব্যাংকের আয়োজনে গ্রিন আর্থ কোয়েস্ট ‘সবুজ পৃথিবীর সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পার্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের টিম ইমপ্যাক্ট হ্যাকস্কোয়াড।

বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা বলরুমে এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিবন্ধিত ৯৭৪টি দল থেকে অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার জন্য ৩২টি নির্বাচিত হয়।এই ৩২টি দল লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চুড়ান্ত পর্বের জন্য ৮টি দল উত্তীর্ণ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় দলসমুহে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইমপ্যাক্ট হ্যাকস্কোয়াড , ১ম রানারআপ হয় টিম সোলারিজ সেন্টিনেলস, ২য় রানারআপ হয় টিম ফিউশন ফ্রন্টিয়ার, ৩য় রানারআপ হয় টিম ষ্ট্রবেরী সর্টকেক। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অতিথি হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এড্যুকেশন স্পেশালিষ্ট মিস তাশমিনা রহমান উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতার বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান। অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

চ্যাম্পিয়ন টিম ইমপ্যাক্ট হ্যাকস্কোয়াড সদস্য হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শুভ চাকমা, রাইসুল হাসান মুকুট ও  মো. আশিকুর রহমান। তারা তিনজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

চ্যাম্পিয়ন দলের মো.আশিকুর রহমান নিজের অনুভুতি জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশ বিভিন্ন কারণে দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে এবং দিন দিন পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তরুণরা কিভাবে ছোট ছোট সমাধান বের করে দেশকে টেকসই উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে পারি সে লক্ষ্যেই এই আয়োজন।আমাদের দল "ইমপ্যাক্ট হ্যাকস্কোয়াড" একটা অ্যাপের কনসেপ্ট দেয় যার মাধ্যমে নগরের মানুষ গাছপালা রোপণ, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অ্যাপলাইয়েন্সেস ব্যবহার করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ অন্যান্য পরিবেশ রক্ষামূলক কাজে অংশগ্রহণ করবে। এতে করে শহরের তাপমাত্রা এবং কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুবই গর্বিত

শিক্ষার্থীদের এমন অর্জনে অভিনন্দন জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.আবু রেজা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের এই রকম অর্জনে আমরা আনন্দিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা গবেষণা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভালো করছে। এইটি শুধু আমাদের বিভাগের নয় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন।তাদের এই প্রতিযোগিতার জন্য আমরা একটি পরীক্ষা সময়ও পরিবর্তন করেছি। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ নেতৃত্ব বের করে আনাই ছিল এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। শুধু সবুজ প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল দক্ষতাই নয়, ফলিত বিজ্ঞান ও গণিত, ভাষা ও সংস্কৃতি এবং কম কার্বন নিঃসরণ ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো বিষয়েও জ্ঞান-অর্জন করেছে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা।

যাযাদি/ এস