মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিতে বাংলাদেশ বলীয়ান: উপাচার্য মশিউর রহমান

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৪, ১৭:৫৯

গাজীপুর প্রতিনিধি
ছবি-সংগৃহিত

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিতে বাংলাদেশ প্রবলভাবে বলীয়ান বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, এই শক্তি আমাদের মানবিকতা শেখায়। এই শক্তি আমাদের সংবিধানের চার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই শক্তি অপূর্ব। আমাদের যে সৃজনশীলতা, গণতন্ত্র এবং সৃষ্টিশীল সমাজের বুনিয়াদ- এ সবকিছু আমাদের আত্মশক্তির পরিচায়ক। সুতরাং চলার পথে  আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে পারব যেটি হবে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ভিত্তি। 

শনিবার বিকালে কুড়িগ্রামের শেখ রাসেল অডিটরিয়ামে একুশে ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এস এম আব্রাহাম লিংকনের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার সৃষ্টিশীল নেতৃত্বে দুর্দমনীয় গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানবিকতা আর সৃজনশীলতায় আজ আমরা বিশ্বে অনন্য স্থানে উপনীত। বিভিন্ন সংকট সমাধানে বাংলাদেশ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বে বিরল। সিট মহল সমস্যা সমাধান হয়েছে যেটি শান্তির বার্তা বহন করে। সমুদ্রসীমা বিজয় একটি সৃষ্টিশীল পদক্ষেপ। আর শেখ হাসিনার হাতে একেবারে যত্ন করে প্রতিটি মানুষকে মুক্ত করার বাসনা থেকে উত্তর অঞ্চলের মঙ্গা দূরীকরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে আত্মমর্যাদার পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। এটি আমাদের মর্যাদার প্রতীক। এভাবে করেই প্রিয় দেশমাতৃকা আজ বিশ্বে অনন্য মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।  

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, তবে আমাদের চলার পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছুদিন আগেও আমাদের কতটা ছবক দিতে চেয়েছিল, অথচ সেখানে সম্প্রতি ৫০জন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পৃথিবীর মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলন করছে। তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করছে দেশটি। সেটি কী মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না? তাহলে আপনারা কেন আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেন। যখন ইসরাইল ফিলিস্তিনের উপর হামলা করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ করে তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
 
ড. মশিউর রহমান বলেন, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানাব- আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছ থেকে শিক্ষা নিন কেমন করে যুদ্ধের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। আপনারা শিক্ষা নিন- কেমন করে মঙ্গাপীড়িত একটি অঞ্চলকে খাদ্যে উদ্বৃত্তে পৌঁছানো যায়। সুতরাং আমাদেরকে আমাদের পথে চলতে দিন। আমাদের যা যা করণীয় সেই মন্ত্র একাত্তরে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে পিতা মুজিব শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। আমরা সেই মন্ত্রে উজ্জীবিত হতে চাই। আব্রাহাম লিংকনের শত অনুসন্ধান সেই মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে, বঙ্গবন্ধু এবং দেশমাতৃকাকে নিয়ে। আমি বিশ্বাস করি তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন এই কাজটি শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও চালিয়ে যাবেন।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, রংপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রবীণ রাজনীতিক  মোহাম্মদ আফজাল, অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।

যাযাদি/ এম