রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের বিশ্বজুড়ে চাকরির নতুন ক্ষেত্রসমূহের দিকে নজর রাখার আহ্বান উপাচার্যের

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ মে ২০২৪, ১০:২৯
ছবি-যায়যায়দিন

শিক্ষার্থীদের বিশ্বজুড়ে চাকরির নতুন ক্ষেত্রসমূহের দিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই তুমি বিশ্বনাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

গত ১৪ মে ২০২৪ তারিখে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে এটুআই, বিডি জবস, তেজগাঁও কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। ডিগ্রি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন শিক্ষার্থী, স্নাতক ও ডিগ্রির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের জন্য এই মেলার আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এ যুগে টিকে থাকতে হলে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। একজন মানুষ প্রথমত মানবিক মানুষ হবে, সৃজনশীল মানুষ হবে, অন্যের পাশে দাঁড়াবে। এই দর্শন যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে না। আমাদের প্রতিবন্ধকতা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে- সেসব উত্তরণই নতুন প্রজন্মের কাজ।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের শেখার মানসিকতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের বিভিন্ন পেশায় নিজেদের গড়ে তোলাই এই মেলার উদ্দেশ্য। এই আয়োজনের মাধ্যমে তেজগাঁও কলেজ তথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন গঠনে অনুপ্রাণিত করবে।

দেশ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাকুরির সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার সব তথ্য এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে ভর্তি হওয়ার সুযোগ ও ভবিষ্যৎ কর্ম জীবনের জন্য নিজেকে গড়ে তোলার গাইডলাইন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ, যার মূল ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভার্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশেষভাবে শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের কার্যক্রমসমূহের জন্য স্মার্ট কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

মেলায় উদ্বোধন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক অধ্যাপক ও তেজগাঁও কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হক, এটুআইয়ের যুগ্ম পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান, বিডি জবসের কো-ফাউন্ডার এন্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এ কে এম ফাহিম মাশরুর, তেজগাঁও কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আঞ্জুমান আরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। মেলায় পাচঁ তারকা হোটেল রেনেসন্স ঢাকা, প্রাণ গ্রুপসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩০টি স্টল ছিল। মেলা উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা সব স্টল ঘুরে দেখেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে