বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ ১৪ এপ্রিল ২০২৪ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯.১৫টায় চারুকলা অনুষদ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় ও শিশুপার্ক সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শাহবাগ মোড় হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় এবার স্থান পেয়েছে ৫টি মোটিফ। মোটিফ ৫টি হলো- পাখি, হাতি, ভোঁদর, ফুল হাতে শিশু পুতুল এবং চাকার মধ্যে চোখ নিয়ে ভিন্ন রকম একটি শিল্পকর্ম। একইসঙ্গে শোভাযাত্রায় বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, পুতুল, নকশি পাখি ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয়। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগতরা কোন ধরনের মুখোশ পরেনি এবং ব্যাগ বহন করেনি। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেউ ভুভুজিলা বাঁশি বাজায়নি। এছাড়া, ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ছিল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সকলের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অনাবিল মঙ্গল কামনা করেছেন। তিনি বলেন, "আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা শুধু বাঙালির সম্পদ নয়, এটি বিশ্ব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।"
উপাচার্য বলেন,"অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমরা আলোর দিশারী। অন্ধকার ভেদ করে সমাজে আলো ছড়াতে এবং সমাজের সকল কুপমন্ডুকতা দূর করতে এবার আমরা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ সকলের জীবনে আরও সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঐতিহাসিক বটতলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
যাযাদি/ এস