রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবোরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লালবাগ মোড় থেকে অটোরিকশায় করে আসছিলাম। পথে আগে থেকেই অটোতে বসে থাকা অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুলের সামনে তার পেটে ছুরি ঠেকিয়ে টাকা দাবি করেন। এ সময় তার কাছে টাকা না থাকায় তার ফোন ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী আল আমিন আরো বলেন, পরিচিতজনদের কাছে ফোন দিয়ে বিকাশে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে শহরের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।পরে ক্যাম্পাসে এসে ঘটনা বিভাগের বড় ভাইদের বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের তারা প্রক্টরকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করেন। কিন্তু তিনি ফোন না ধরলে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়িতে যান। সেখানে পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান বলেন,লালবাগ আর পার্কের মোড়ের মধ্যবর্তী এই জায়গায় প্রতিনিয়ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের নিকট অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কারমাইকেল কলিজিয়েট স্কুলের সামনে চব্বিশ ঘন্টা পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান খান মারুফ বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা রাতেই অভিযান চালিয়েছি। একজন ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের ধরা হবে।
এ বিষয়ে বেরোবি প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছি। তারা জানিয়েছেন লালবাগ থেকে মডার্ন মোড় পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। গতকালের ঘটনায় পুলিশকে জানিয়েছি আজ (রোববার) বিকেল ৪টার মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
যাযাদি/ এস