বেইলি রোডের আগুনে নীভে গেল তুষারের স্বপ্ন

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২৪, ১২:২৫

যাযাদি ডেস্ক
তুষার হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

সদ্য অনার্স শেষ করেছেন তুষার হাওলাদার। বন্ধুদের সঙ্গে সমাবর্তন নিয়ে করছিলেন নানা পরিকল্পনা। ভেস্তে গেল সব। ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলেন চাকরিতে। পড়ালেখা করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে। ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়টির কনভোকেশন। কিন্তু তাতে অংশ নেওয়া হলো না তার। 

তুষার হাওলাদার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায়। গতকাল রাত ১১টা থেকে খোঁজ মিলছিল না তার। 

শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ জন শিক্ষক ১১ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এতে একসঙ্গে ৭ বান্ধবীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন ও লামিশা ইসলাম। নাহিয়ান আমিন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইইই বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আর লামিসা ইসলাম একই ব্যাচের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী।

একইসঙ্গে এই ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা লুৎফুর নাহার করিম (৪৭) ও তার মেয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতি তাজরিন (২৩) প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র। তার নাম তুষার হাওলাদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিকতা বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।  

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

যাযাদি/ এস