শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সম্মাননা জানাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় 

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৭
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সম্মাননা জানাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় 

ভারতের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’-তে ভূষিত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃকলেজ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির সম্মানিত সদস্য বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে আনুষ্ঠানিক বরণ অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তলা ভবনের নিচে পৌঁছালে প্রথমে বন্যাকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বরণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এসময় তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে গান পরিবেশন করা হয়। এরপর তাকে সিনেট হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পথচলা। আজকে আমাকে যে সম্মাননার জন্য সংবর্ধনা দেয়া হল সেজন্য আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

একটি আন্তরিক পরিবেশে আয়োজনটি করা হয়েছে। এর প্রতি মুহুর্তে মনে হয়েছে আপনারা আমাকে ভালোবাসা দিতে চেয়েছেন। আমি মনে করি, যে সম্মাননাটা দেয়া হয়েছে সেটি আমি একটা উপলক্ষ্য। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক সেটি অনেক পুরানো। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে সেই সম্পর্ক চলমান রয়েছে। সেই বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ আমাকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে। রবীন্দ্রনাথের গানে যে মানবিকতা, ঔদার্য, সৌহার্দ্য, প্রীতি, বন্ধুত্ব- এই সব কিছুর নিদর্শন হিসেবে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রিয় দেশমাতৃকায় রমনার বটমূলে যখন নববর্ষে সংগীত চর্চা হয় সেখানেও বোমা হামলা হয়েছে। এক সময় সিনেমা হলগুলোতে বোমা হামলা হয়েছে। সব জেলায় সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে।

এতে কি বন্যাদির কণ্ঠ বন্ধ হয়েছে? নাকি আরও সুরের ধারায় তিনি নিজেকে প্রকাশ করেছেন। বন্যাদির টিকে থাকার এই সংগ্রাম সব সময় সুশীতল, স্নিগ্ধ, কোমল, শান্তিময় ও প্রতিবাদ মুখর হয়েছে সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে। একজন বন্যা রবীন্দ্রনাথকে কতটা ধারণ করলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় নেতৃত্ব দিতে পারেন সেটি বলাই বাহুল্য। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা যে সম্মাননা পেয়েছেন তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সুস্থ সংস্কৃতি খুঁজে পাই। মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সম্মাননা অনুপ্রেরণা হয়ে রইবে।’

অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, সুরের ধারা কলেজ অব মিউজিকের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফি আহমেদ।

অনুষ্ঠান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে নিয়ে সাইটেশন পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান সুরের ধারা কলেজ অব মিউজিক ও সরকারী সংগীত কলেজের শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কর্মময় জীবন ও পরিচিতি নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে