বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

বেরোবির শিক্ষার্থী বাসের বেহাল দশা

বেরোবি প্রতিনিধি
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮
বেরোবির শিক্ষার্থী বাসের বেহাল দশা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পার হলেও শিক্ষার্থীদের অনুপাতে বাড়েনি বাসের সংখ্যা। তিন বছর যাবত দুইটি বাস পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।যে কয়েটি বাস আছে সেগুলোরও বেহাল দশা।

পরিবহন সূত্রে জানা যায় শিক্ষার্থী বাসের সংখ্যা ৯ টি। তার মধ্যে তিন বছর যাবত দুইটি বাস পরিত্যক্ত অবস্থায়। বাকি ৭ টি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদে শিক্ষার্থী প্রায় আট হাজার কিন্তু তাদের জন্য হল রয়েছে তিনটি। যার ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী থাকেন মেস কিংবা বাসা বাড়িতে। ক্লাস করতে যাওয়ার সময় তারা বাসে ঠিক মত জায়গা পান না। যার ফলে অনেকেই অটো বা রিক্সসা উপর নির্ভর করতে হয়।এছাড়াও অনেকের টিউশনি শহর কেন্দ্রিক হওয়ায় তারাও বাসের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাসের সংকটের ফলে তারাও অনেকে সিট না পেয়ে অটো কিংবা রিক্সসা উপর নির্ভর করতে হয়।

সম্প্রতি দুইটি বাসের রং করা হলেও পরিত্যক্ত বাসের সংস্কার ও নতুন বাসের ব্যাপারে তেমন আগ্রহী নয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

লোক প্রশাসন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আবির বলেন,শিক্ষার্থী অনুপাতে বাস সংখ্যা খুবই কম। এই সংকট এতো প্রকট আকার ধারণ করেছে যে বাসে জায়গা পাওয়ার জন্য রীতিমতো শিক্ষার্থীদের যুদ্ধ করতে হয়। তারপরেও বিকেল ৩.৩০ টার বাসে জায়গা মেলে না অনেকের। উপায় না পেয়ে যথারীতি অটোর ভাড়া গুনতে হয় আমাদের। তাই আমি মনে করি অচিরেই এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন এবং পুরাতন বাসগুলো মেরামত করা প্রয়োজন।

কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিমান্ত চক্রবর্তী বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছরই বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিন্তু বাসের সংখ্যা বাড়ে না। কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে ১১টির মত বাস। তাছাড়া কয়েকটি বাস মেরামতের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এইদিকে দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের। এমনিতেই বাসের সংখ্যা কম তাতে বাসগুলোতে নেই সঠিক ফ্যানের ব্যবস্থা । যার কারণে গরমের সময় শিক্ষার্থীদের যেতে হয় লোকাল বাসে কিংবা অটোতে। আর বাসগুলো শহরকেন্দ্রিক হলেও শহরের অনেক জায়গায় বাস যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এই ব্যাপারে পরিবহন পুলের পরিচালক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.শফিকুর রহমান বলেন,পরিত্যক্ত বাস গুলোর সংস্কার প্রক্রিয়াধীন। সরকারি নীতিমালার জন্য নতুন বাস ক্রয় করা যাচ্ছে না। তারপরও সম্প্রতি একটি এম্বুলেন্স ও উপ উপার্চাযের জন্য গাড়ি নেওয়া হয়েছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে