ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘সততা ফোয়ারা’ ও ‘বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট’ চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাজের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। পরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে, ‘সততা ফোয়ারা পুনরায় চালু চাই’, ভিসির দোয়ারে টোকা মারুন, সততা ফোয়ারা চালু করুন’, ‘ইবির সৌন্দর্য সততা ফোয়ারা অনিবার্য’, ‘পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই, শিক্ষার্থীদের থাকার পরিবেশ চাই’, ‘নয় ছয় বাদ দিন সততা ফোয়ারায় পানি দিন’, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপদ পানি নাই, বন্ধ পানির প্ল্যান্ট পুনরায় চালু চাই’ ইত্যাদি দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিন ও মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘দীর্ঘদিন ধরে সততা ফোয়ারা বিকল হয়ে আছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি সৌন্দর্যের প্রতীক সততা ফোয়ারা চালু করা হোক। এ ছাড়া আমাদের ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নাই। আমরা চাই প্রতিটি হল ও বিভাগে বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হোক। আর বিভিন্ন ভবনে যেগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে সেগুলো দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা হোক। এর আগে আমরা একাধিকবার প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
মানববন্ধন শেষে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বনি আমিন ও মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান। কিন্তু এসময় উপাচার্য তার কার্যালয়ে না থাকায় প্রক্টরিয়াল বডি তাদেরকে কার্যালয়ে যেতে বাঁধা দিলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মানববন্ধনকারীরা। পরে শিক্ষার্থীরা জোরপূর্বক ঢুকে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘তাদের ব্যানারে ছিলো তাদের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি। কিন্তু কী কারণে তারা জোরপূর্বক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলো সেটা বোধগম্য নয়। আর ফোয়ারা চালুর বিষয়ে আজ সকালে উপাচার্য বসেছেন। ইতোমধ্যে এটি ঠিক করার জন্য প্রকৌশল অফিসকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
যাযাদি/ এস