সালাম না দেওয়ায় শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় বিচার চেয়ে ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ঘেরাও করে এ ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি জানান। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে পথ ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল কবীর দ্বীপ স্বাক্ষরিত ৬ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করেন। ৬ দফা দাবিগুলো, মাঞ্জুরুল হাসানের উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, আগামী তিনদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত শিক্ষার্থী ও অছাত্রদের হল থেকে বের করতে হবে, ৬ ফেব্রুয়ারি ফিশারীজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ ও করুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, হলগুলোকে মাদকমুক্ত রাখতে হবে, হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রত্যেক ফ্লোরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে আইনি সহযোগিতা ও মামলার সকল ব্যয়ভার বহন করতে হবে।
দুপুরের দিকে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ঘেরাও করে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
এসময় তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করে শীঘ্রই দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে, বহিস্কৃত ও অছাত্রদেরকে হলে তল্লাশি চালিয়ে বের করে দেওয়া হবে, ছাত্রীদের সাথে অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিষয়টি তদন্তাদীন রয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে, হলকে মাদকমুক্ত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি ও হলে কোনো অছাত্র, বহিষ্কৃত ও মাদক বিষয়ে আমাকে ইনফর্ম করলে সরাসরি হলে এসে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠে সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এ ঘটনা অস্বীকার করলেও এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ও যবিপ্রবি প্রক্টর বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
যাযাদি/ এম