শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

জাবিতে পাঁচ দাবিতে সমাবেশ ও শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

জাবি প্রতিনিধি
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২
জাবিতে পাঁচ দাবিতে সমাবেশ ও শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম বিলুপ্তি ও যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও নিজ বিভাগের ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে অভিযুক্ত পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেট্রিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি এবং সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাষ্কর্যের পাদদেশে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ -এর ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবি পাঁচটি হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা ও র‌্যাগিং সংস্কৃতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা এবং ইতঃপূর্বে যৌননিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সকল অমীমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করা ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘প্রশাসন এখনো হল থেকে অছাত্রদের বের করতে পারেনি। প্রশাসন অছাত্রদের বের করতে পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়েছিল। এই সময়ে গুটি কয়েক অছাত্রকে বের করে প্রশাসন দেখাচ্ছেন যে, তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সামনে ভর্তি পরীক্ষা, আমরা চাই না নবীন শিক্ষার্থীরা ধর্ষক প্রশাসনের কাছে আসুক।’

ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালিয়ের সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে তার কোনটাই পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষক সমিতির সভায়ও এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোনো শিক্ষকেরই মতের ভিন্নতা ছিল না। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি সিন্ডিকেটে দৃশ্যমান অগগ্রতি না দেখি, তাহলে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে প্রক্টর ও হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছি। কিন্তু প্রশাসন সে দাবি মেনে নেয়নি। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোভাবে নিপীড়কদের বিচার হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কোথাও নিরাপদ পরিবেশ নেই। ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাইলে এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে চাইলে এই প্রক্টর ও প্রভোস্টের পদত্যাগ অত্যন্ত জরুরি।’

এছাড়াও এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে