সম্মেলন ছাড়াই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হচ্ছে
প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১
সম্মেলন ছাড়াই সিভি যাচাই বাঁচাইয়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ গত চার দশক ধরে এমইএস কলেজ ও সিটি কলেজ বলয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নানা সমীকরণে এইবারের আলোচনায় রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ।
জানা যায়, ১০ বছর আগে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত নগর ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকা অধিকাংশ ছাত্রত্বহীন, বিবাহিত ও ব্যবসায়ী । যার কারণে একদিকে সাংগঠনিক কর্মসূচি ব্যাহত,অন্যদিকে নগর ছাত্রলীগে নেতৃত্বেও সংকট তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূলে দীর্ঘদিন চাপা কষ্ট থাকলেও এখন উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।ইতিমধ্যে নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজ, মেধাবী ছাত্র এবং দুঃসময়ে সংগঠনের কাজে মাঠে ছিলেন এমন কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা, স্থানীয় মন্ত্রী-এমপি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়িয়েছেন পদ প্রত্যাশী নেতারা।
যে কারণে আলোচনায় চট্টগ্রাম কলেজ : ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর শিবিরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম কলেজ থেকে শিবিরকে বিতাড়িত করার পর কলেজ নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বর্তমান কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। এরপর কয়েক দফায় অপরিচিত নাম্বার থেকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে সবুজ থানায় জিডিও করেন।
প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকা সুভাষ মল্লিক সবুজকে পুরস্কার সরূপ ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। তখন থেকে এ যাবৎ দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তার ক্লীন ইমেজের কারণে তিনি অন্য পদ প্রত্যাশীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন বলে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন,‘অর্থ, বিত্ত কিংবা লবিং এর দৌড়ে নয় আদর্শিক অঙ্গিকারে এগিয়ে থাকতে চাই। বিগত দিনেও জামাত-বিএনপির সঙ্গে আপোষ করিনি। আগামীতেও প্রশ্নই আসে না । আমার একমাত্র রাজনৈতিক অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (এমপি) ভাইয়ের স্নেহধন্য হয়ে থাকতে চাই।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে নগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।এতে ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের আংশিক কমিটি করা হয়।
যাযাদি/এসএস