চবিতে শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের বসন্ত উৎসব 

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬

চবি প্রতিনিধি

আজ বসন্তের দ্বিতীয় দিন। বসন্তকে বরণ করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইআর) আয়োজন করে বসন্ত উৎসব 'ফাগুন সম্ভাষণ'। 

১৫ ফেব্রুয়ারী ( বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত¡রে নানা সাজে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী উদযাপিত হয় এই আয়োজন। সকাল ১১ টায় ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আমির উদ্দিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর বিকেল পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে গান, নৃত্য পরিবেশনা, একক নৃত্য, ¯ট্যান্ড আপ কমেডি,  শ্রুতি নাটক, মাইম, কোরাস নিয়ে সাজানো হয়েছে  এসেছে বসন্ত, রাঙ্গিলো ধরা, হারানো শৈশবে শিক্ষা পাড়া।  পিঠার মধ্যে সরোবর, পঞ্চকোষের পিঠা পুরাণ, ফাগুন সমীকরণে, বসন্তের বর্ণিল পিঠা, শেষ অয়া গেল, বসন্তের পিঠার ঝুড়ি, পিঠান্বেষণ ইত্যাদি বাহারি নাম ছিলো পিঠা স্টলের। 

স্টলে ছিলো হরেক রকমের শতাধিক পিঠা।  পিঠার মধ্যে ডিমসুন্দরী, চিকেন পুরি, পোয়া, সুজি রসবড়া, ব্যাঙ পিঠা, পাটিসাপটা, পোয়া, মুগপাকন, খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা, কাবাব, নারিকেলের নাড়ু, মাংশপুলি, কাঁঠাল খিলি পিঠা, শাহী মালাই, ফুলঝুরি, ডালপাকন, পাকুড়া, চকোলেট পুডিং ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

পিঠা স্টল দেওয়া বিভাগের শিক্ষার্থী হাফসা আক্তার সাদিয়া বলেন, 'আমাদের পিঠার স্টলের নাম 'শেষ অয়া গেল'। ১৬ পদের বাহারী পিঠা দিয়ে আমরা স্টল সাজিয়েছি। ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বাইরের অনেকে এসে পিঠা কিনছেন, আনন্দ উদযাপন করছেন যেটি মনোমুগ্ধকর।'

স্টল ঘুরতে আসা রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফ হোসাইন বলেন,' আইইআরের উৎসবে সারা ক্যাম্পাসে সাড়া ফেলে। ক্লাস শেষ করেই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে চলে এসেছি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটা বেশি উপভোগ করছি। পিঠাও খেয়েছি অনেকগুলো। এমন আয়োজন সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরিতেও ভূমিকা রাখে।'

ইন্সটিটিউটের শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, 'শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট ব্যাতিক্রমী শিক্ষার প্রাঙ্গণ। এখানে যেমন পড়াশোনায় জোর দেওয়া হয় তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও উৎসাহ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আইইআরের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক উৎসব, ফাগুন উৎসব, পিঠা উৎসব সব সময় আয়োজন করে থাকে। এমন আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত করতে ভূমিকা রাখে।

যাযাদি/ এম