আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রকৃতিতে রং লেগেছে বসন্তের। বসন্তের রঙ্গে মেতেছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)।
আজ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উপলক্ষেও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ক্যাম্পাস জুড়ে। এত উৎসব উপলক্ষে হাবিপ্রবি ক্যাম্পাস না সাজলেও শিক্ষার্থীরা যেন প্রকৃতির সাথে পাল্লা দিয়ে সেজেছে বসন্তের রঙে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের জায়গায় জায়গায় বাহারি ফুল ও পিঠার দোকান খুলেছে শিক্ষার্থীরা।
সরস্বতী পূজা উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মাঠে ৮ টায় প্রতিমা স্থাপন, ৮.৩০ টায় পূজা আরম্ভ, ৯.৩০ টায় অঞ্জলি প্রদান এবং ১১ টায় প্রসাদ বিতরণ করার মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষাৰ্থীরা দেবী সরস্বতীর কাছে বিদ্যা ও জ্ঞান বৃদ্ধির প্রার্থনা করে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন কমিটি ২০২৪ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার, সদস্য সচিব কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন, কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার এবং সনাতন ধর্মের শিক্ষকবৃন্দ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের সহনশীল হতে, ধৈয্যশীল হতে শেখায়,আমাদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য যে বৈশিষ্ট্য গুলি প্রয়োজন তা সব ধর্মেই খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি আশা করি এই পুজোর মাধ্যমে তোমাদের জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো তা পূরন করবে।
এইদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে "পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত বরণ উৎসব" শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ গানে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন 'অর্ক সাংস্কৃতিক জোট'।
যাযাদি/এসএস