পথ আল্পনা, বাণী অর্চনা, পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
সকাল ১১ টায় সরস্বতী পূজা উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি সবচেয়ে বেশি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক নেতা। যিনি বাঙালী মুসলিমদের বাঙালী, বাঙালী হিন্দুদের বাঙালী, বাঙালী খৃষ্টানদের বাঙালী, বাঙালী বৌদ্ধদের বাঙালী বানিয়েছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি ধর্মনিরপক্ষে ও অসাম্প্রদায়িক বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা চাই, এখানে সকল ধর্মের মানুষ পারস্পারিক সোহার্দ্য সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করবে।
যবিপ্রবি পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. মিলন কুমার বসু। আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দীপক কুমার মন্ডল, সহকারী অধ্যাপক তরুন সেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মৌমিতা চৌধুরি, প্রভাষক দেবাশীষ রায়, সেকশন অফিসার রামানন্দ পাল, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর উজ্জ্বল চন্দ্র সূত্রধর প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা পরিচালনা করেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থী বিনয় কুমার ভৌমিক।
সরস্বতীর পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সম্মুখে প্যান্ডেল করে পূজা অর্চনার ব্যবস্থা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০:৩০টায় থেকে শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলি ও হোমযজ্ঞ। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এদিকে একইসাথে যবিপ্রবির ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে ভেটেরিনারি অনুষদেও বাণী অর্চনা, পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উদ্যাপন করা হয়।
যাযাদি/ এসএম