শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ইবির লোক প্রশাসন বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ইবি প্রতিনিধি
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৬
ইবির লোক প্রশাসন বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লোক প্রশাসন বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভাগটির ১৯৯০-১৯৯১ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সহস্রাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশ নেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

প্রথম পুনর্মিলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম। এসময় ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ও টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলসহ বিভাগের অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী আশেক-এ-খোদা ও শাম্মি আক্তার অন্তরা।

এদিকে অনুষ্ঠানের শুরুতে লোক প্রশাসন বিভাগের উপর একটি ডকুমেন্টারি পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং বিভাগের দায়িত্বপালনকারী সকল বিভাগীয় সভাপতিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে আলোচনা অনুষ্ঠান ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি পুনর্মিলন উপলক্ষ্যে পিঠা উৎসব ও লালন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে বিভাগটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের এই জমকালো আয়োজনে সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উৎসবে মেতেছেন। এই আয়োজনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও হৃদ্যতা আরও বাড়বে বলে মনে করছি। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। সরকারের শিক্ষানীতির মধ্যে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার একটি নির্দেশনা রয়েছে। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে তার পরিপূর্ণতা পেতে চলেছে। এখন প্রতিটি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করছে। এটি প্রতিষ্ঠার ফলে অ্যালামনাইদের নিকট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিভাগগুলো বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পাবে। এছাড়াও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সাবেক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে উপকৃত হবে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে