শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম, উপাচার্যের একক কর্তৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অবৈধ অনলাইন পিএইচডি ডিগ্রির অনুমোদন, পদোন্নতির শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও কতিপয় শিক্ষককে পদোন্নতি প্রদান ও পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও শিক্ষকদের একটি অংশকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা, পদোন্নতি নীতিমালায় না থাকলেও শিক্ষকদের পদোন্নতির সময় অবৈধ শর্ত প্রদান করা এবং পছন্দ-অপছন্দ বিবেচনা করে এসব শর্ত দেওয়া, বিভিন্ন বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রদানের দায়িত্ব হস্তান্তর না করা, উপাচার্যের পছন্দের লোকদের আইন লংঘন করে এসব দায়িত্ব দেওয়া, উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকদের ক্যাডার বাহিনী তৈরি করা এবং এই ক্যাডারদের দ্বারা শিক্ষকদের পেটানো এবং গালিগালাজ করার ঘটনা ঘটা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অর্থ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার অভিযোগ তুলে গণমাধ্যম উপদেষ্টা থেকে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাহবুবুল হক ভূঁইয়া প্রেরিত ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সিল সম্বলিত এক চিঠিতে এ পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেন, 'আমি ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে আছি। বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে আমি গণমাধ্যম উপদেষ্টা পদত্যাগ করছি। অতএব, উপর্যুক্ত প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এর আগে ২০২২ সালের ২২ মার্চ দায়িত্ব পালনে উপাচার্যের সাথে সমন্বয়হীনতা ও অস্বস্তিবোধের কথা বলে পদত্যাগপত্র জমা দেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রশাসনের সাথে কাজ করলে দায়ভার নিজের উপর চলে আসবে মনে করে পদত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার।
যাযাদি/ এম