পল্লী স্টাইলের সাজ সজ্জার সাথে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবি এঁকে স্টল তৈরির মাধ্যমে 'এরশাদ' কে স্মরণীয় করে রেখেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৯ নাম্বার প্যাভিলয়নে ঐতিহাসিক গ্রাম বাংলার 'কুঁড়েঘর' স্টাইলে সাজানো 'আকাশ প্যাভিলয়ন' এবারের একুশে বইমেলায় নতুন আমেজ তৈরি করেছে।
একটি 'আকর্ষণীয় ঘর' হিসাবে এটি দেখতে দর্শক ও কবিরা ভিড় জমাচ্ছেন।আনন্দের সাথে ছবি তুলছেন তরুণ -তরুণীরা।যেন ঢাকা শহরে '৬৮ হাজার গ্রাম' বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছে প্যাভিলিয়নটি।
এরশাদের ছবির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি লাগিয়েছেন প্রকাশক নেতা আলমগীর সিকদার লোটন।
জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের ছাত্রনেতা এবং তরুণ লেখক আরিফুল ইসলাম বলেন,"৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার উন্নয়নের রূপকার সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি মরহুম-পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর আর্টিস্ট করা ছবিটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে"।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,"আমি পল্লীবন্ধু এরশাদের একটি বই নিতে চাই। কিন্তু এখানে কোন এরশাদের বই নেই। অথচ বর্তমান বনানী চেয়ারম্যান কার্যালয়ের পাঠাগারে অসংখ্য বই সংরক্ষিত আছে পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের"।
তরুণ -তরুণীদের হাতে পল্লীবন্ধু লেখা বইগুলো পৌঁছে দিয়ে পল্লীবন্ধুর জীবন আদর্শ কেমন ছিল তা প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
'আকাশ' প্যাভিলিয়নের মালিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন জানান," এরশাদ বেঁচে থাকতে প্রতি বছর বইমেলায় আসতেন। উনার লেখা 'আমার জীবন, আমার কর্ম' বইটি আমি প্রকাশ করেছি।সব প্রকাশক যেভাবে তাদের রাইটারের(লেখকদের )ছবি লাগিয়েছেন, আমিও আমার রাইটার হিসেবে এরশাদের ছবি এঁকে দিয়েছি।এরশাদের অনুপস্থিতিতে আগামীকাল তার ছেলে সাদ এরশাদ আসবে"।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,"স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কে স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়েছি"।
জিয়াউর রহমানের ছবি কেন লাগান নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি জিয়াউর রহমানকে স্বীকৃতি দেয় নি। তাই জিয়াউর রহমানের ছবি লাগানো হয় নি"।
এরশাদের বই না থাকায় অস্বস্তি বোধ করে তিনি বলেন, "এরশাদের বই গুলো আমি টাকা দিয়ে প্রকাশ করেছি। ইতিমধ্যেই বই শেষ হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই বই আনা হবে"।
যাযাদি/ এম