চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হলো চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) এবং ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এবং সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একইসাথে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।
পরে রাত ২টার দিকে পুলিশ দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জানা গেছে, ভিএক্স গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের নেতা কর্মীরা। নিজ গ্রুপের কর্মীকে মারধরের জেরে সংঘর্ষে জড়ায় ভিএক্স এবং সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় যায়যায়দিনকে বলেন, জুনিয়ার দুই বন্ধুর ভুল বোঝাবুঝি থেকে জুনিয়রদের মধ্যে দিয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছে। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিলে আমরা সিনিয়ররা বসে মীমাংসা করে ফেলছি।
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা তাদের হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভিএক্স পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিজেদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী এবং সিএফসি পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
যাযাদি/ এম