নেকাব খুলতে অসম্মতি জানানোয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীর ভাইভা নেয়নি বোর্ডের শিক্ষকরা। এর প্রতিবাদে সোমবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে ফের মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ওই ছাত্রীকে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া ও পোশাকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়ে শিক্ষকদের সংগঠন গ্রীন ফোরাম।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, নেকাব না খোলার কারণে এক ছাত্রীকে সেমিস্টার ভাইভা বোর্ডে বসতে দেওয়া হয় নি। বিষয়টি লজ্জার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক ও বাংলাদেশের সংবিধান এবং সার্বজনীন মানবাধিকার বিরোধী। আমরা শিক্ষাগুরুদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই কোন অধিকারে তাকে ভাইভায় বসতে দেওয়া হয় নি। ঐ বিভাগে সরাসরি সংবিধান লঙ্ঘন করেছে সাথে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা দাবি জানাই এরকম পরিস্থিতিতে যাতে স্মার্ট ডিভাইস বা নারী শিক্ষকের দ্বারা পরিচয় শনাক্তেকরণের ব্যবস্থা করা হয়।
মানববন্ধন শেষে চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান।
স্মারকলিপিতে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্যাম্পাসের সর্বত্র শালীন, রুচিসম্মত পোশাক পরিধানের অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব ধর্মপালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও পরবর্তীতে যেন কেউ কারো ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার মতো দুঃসাহস না করে তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, কারো কোনো অধিকার নাই ধর্মীয় বিষয়ে আঘাত করার। শিক্ষককে হতে হবে বাবার মতো। তার আচরণ, স্নেহ, ভাষা সবকিছু বাবার মতো হবে। কিন্তু আমাদের এখানে কিছু ব্যত্যয় ঘটেছে, আমাদের আচরণ বাবার মতো হচ্ছে না। তবে এ বিষয়গুলো দেখা হবে। আমি উপাচার্য মহোদয়ের সাথে কথা বলবো।
যাযাদি/ এস