বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

নেকাব ইস্যুতে ইবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন

ইবি প্রতিনিধি
  ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৮
নেকাব ইস্যুতে ইবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন

সম্প্রতি নেকাব না খোলায় মৌলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখা।

রোববার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে তারা।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাহাতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মু. নাঈম উদ্দিন। এছাড়া সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-ইমরান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাব্বির, দাওয়াহ সম্পাদক আনওয়ার ইসলাম, তথ্য -গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ, প্রকাশনা দফতর সম্পাদক নেয়ামাতুল্লাহ আল ফারিস, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আবু হুরায়রা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক ইসমাইল হোসেন তাকবির ও কার্যনির্বাহী সদস্য আমানুল্লাহ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমিন বলেন, পর্দা মুসলিম নারীর রক্ষাকবচ ও আত্মপরিচয়ের হাতিয়ার। কিন্তু স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে চরমভাবে আঘাত করেছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নিকাব না খোলায় বিভাগীয় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইবা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও নাগরিক অধিকার হরণ করার নামান্তর। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখবেন বলে আশাকরি।

সাবেক কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মু. নাঈম উদ্দিন বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে এধরনের ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন করতে হচ্ছে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। নেকাব না খোলায় ভাইবা থেকে বের করে দেওয়ায় সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ভাইভায় নেকাব পরে অংশ নেয় এক ছাত্রী। এ সময় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। এ সময় ওই ছাত্রী নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাকে ভাইভা বোর্ডের সকল সদস্যদের সামনে নেকাব খুলতে বলেন শিক্ষকরা। পরে নেকাব না খোলায় তার ভাইভা নিতে অস্বীকৃতি জানান শিক্ষকরা। তবে এখনো পর্যন্ত তার ভাইভা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে