শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাবি প্রতিনিধি
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০১
জাবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে লড়ছেন যারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে বিরাজ করছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এবছর সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে একটি পদের বিপরীতে দুই জন করে এবং নিবার্হী সদস্য হিসেবে ১০ টি পদের বিপরীতে মোট ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে দুইটি প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন প্রার্থীরা। প্যানেলের একটি উপাচার্যের সমর্থনপুষ্ট আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এবং অপরটি আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’। উভয় সংগঠন থেকেই সকল পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে আইআইটি’র অধ্যাপক এম শামীম কায়সার, সহ-সভাপতি পদে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক লাইজু নাসরিন, সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা, যুগ্ম-সম্পাদক পদে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান

এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোঃ এজহারুল ইসলাম।

এছাড়াও এই প্যানেল থেকে নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক কে. এম. খাইরুল আলম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ওসমান গনি, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ নুরুল আমিন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রেজওয়ানা আবেদীন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত বণিক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রনি, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে কাজ করবেন বলে জানান বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং শিক্ষকবৃন্দের যথার্থ স্বার্থ-সংরক্ষণে গুরুত্ব দিবেন বলে জানান তারা।

সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, শিক্ষক সমিতির সম্পাদক হিসেবে আমার প্রথম দায়িত্ব হলো শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টগুলো বিষয়গুলো দেখা। শিক্ষকদের স্বার্থ কোথাও যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সে ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকবো। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালেয়ে প্রধান অংশীজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বজায় থাকে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো। অপর প্যানেল শিক্ষক ঐক্য পরিষদ থেকে সভাপতি পদে আইবিএ-জেইউ এর অধ্যাপক মোঃ মোতাহার হোসেন, সহ-সভাপতি পদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, সম্পাদক পদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ পদে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়াও নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন আইবিএ-জেইউ এর অধ্যাপক আইরীন আখতার, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক খোঃ লুৎফুল এলাহী ও সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা পারভীন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব কবির, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া ও অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দীন (রুনু), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রায়হান শরীফ এবং জানার্লিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।

এদিকে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ এর নেতাকর্মীরা “প্রশাসনের আজ্ঞাবহ না হয়ে শিক্ষক সমিতি যদি কাঙ্খিত ভূমিকা রাখে তবে শিক্ষা-গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে এনে বিশ^বিদ্যালয়কে মর্যাদাকর স্থানে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে” বলে মন্তব্য করেন। এসময় নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার, শিক্ষকদের পেশাগত এবং আর্থিক-সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণ এবং এ লক্ষ্যে নিবেদিত সক্রিয় ও বলিষ্ঠ শিক্ষক-নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে বদ্ধ পরিকর বলে প্রতিশ্রুতি দেন। নেতৃবৃন্দ প্রগতিশীল, জবাবদিহিতামূলক এবং সার্বজনীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবেন বলেও জানান।

শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, শিক্ষকদের মুল প্রাধান্যের জায়গা হলো শিক্ষার্থী ও শিক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতিকল্পে শিক্ষক সমিতির যে ভূমিকা রাখা উচিৎ আমরা সেটাই করবো। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত অর্থেই শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে থাকুক। এ লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে