ভারত তার স্থল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য পরিবহনের সুবিধা প্রত্যাহার করেছে। এটি ঢাকাকে নতুন করে ধাক্কা দিয়েছে, যা ইতিমধ্যেই তার পণ্যের উপর মার্কিন শুল্কের চাপের কারণে বিপর্যস্ত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার জারি করা ভারতের শুল্ক বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, তারা ২০২০ সালের একটি আদেশ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য বন্দর এবং বিমানবন্দরে কন্টেইনার বা ক্লোজড-বডি ট্রাকে করে পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, "বিলম্ব এবং উচ্চ ব্যয়" ভারতের নিজস্ব রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং আটকে থাকা বিষয়গুলির কারণে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
"এর ফলে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে," ঢাকা-ভিত্তিক একজন ব্যবসায়ী ইউনুস হোসেন বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, এই পদক্ষেপ নেপাল বা ভুটানে গমনকারী বাংলাদেশি রপ্তানিকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না। এসব রপ্তানি আগের নিয়মেই ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে চলবে।
বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বড় শঙ্কা এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের এ ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এটি বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুনের এক আদেশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বা ক্লোজ-বডি ট্রাক ভারতীয় স্থল কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করে সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের পথে পাঠানো যেত, সেটি এখন বাতিল করা হয়েছে।
যাযাদি/ এম