‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৪৮০ রিক্রুটিং লাইসেন্সের আবেদন আটকে আছে’

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৬

যাযাদি প্রতিবেদন
ছবি : যায়যায়দিন

দেশের জাতীয় রিজার্ভ ও প্রধান আয়ের উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, সেই রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি তথা প্রবাসী প্রেরণের অন্যতম কারিগর হলেন জনশক্তি রপ্তানির এজেন্ট সমূহ অর্থাৎ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকগণ। রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স দিয়ে থাকেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার রিক্রুটিং লাইসেন্স দিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, যার মধ্যে প্রায় ৫/৬ শ  প্রতিষ্ঠান/লাইসেন্স বিভিন্ন কারণে কাজ করছে না আবার লাইসেন্স স্যারেন্ডারও করছে না, এতে সরকারেরও লাভ আছে কারণ সরকারের কাছে তাদের গ্যারান্টি বাবদ ডিপোজিট  জমা আছে।

দেশের জনশক্তি রপ্তানি করতে লাইসেন্সের জন্য অনেক উদ্যোক্তা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে আবেদন করেন। নতুন উদ্যোক্তাদের এই আবেদন বিএমইটি যাচাই বাছাই করে, সংশ্লিষ্ট যাবতীয় শর্তাবলী সঠিকভাবে পালন করায় বিএমইটি নিয়ম অনুযায়ী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন ধাপে প্রায় ৪৮০ টি আবেদন পাঠায়। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর মন্ত্রণালয় উক্ত ৪৮০টি  লাইসেন্সের আবেদন মঞ্জুর না করায় নতুন উদ্যোক্তাগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, দেশও বঞ্চিত হচ্ছে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি থেকে।

গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য আবেদনকারী নতুন উদ্যোক্তাগণ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ও নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বিস্তারিত তুলে ধরে নতুন লাইসেন্সগুলোর আবেদন মঞ্জুর করার জন্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এ আই টি আই ইন্টারন্যাশনাল এর আহ্বায়ক জনাব মো. নূরুল ইসলাম। 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নতুন ৪৮০ টি লাইসেন্স অনুমোদন করলে নতুন উদ্যোক্তাগণ ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে দেশের জাতীয় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারবে, সরকারের রাজস্বে প্রায় ১১২ কোটি টাকা জমা হবে, দেশের অসংখ্য মানুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হবে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উক্ত বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত নতুন উদ্যোক্তাগণ আশা করেন।

আলোচনা শেষে বৈষম্যের স্বীকার রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকগণ একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহ্বায়ক : মো. নূরুল ইসলাম, এআইটিআই ইন্টারন্যাশনাল; যুগ্ম-আহ্বায়ক: সৈয়দ আমজাদ হোসেন, বে-স্টার ওভারসীজ; সদস্য সচিব: মোঃ মিজানূর রহমান, ওয়াইসিসি ইন্টার কন্টিনেন্টাল; যুগ্ম সচিব: মো. রাশিদুল ইসলাম, প্রমিস এমপ্লয়মেন্ট লিঃ; সদস্য: রাজিব আহম্মেদ, আল রাজিব ওভারসীজ; সদস্য: আক্তার হোসেন, ওয়ারি ওভারসীজ; সদস্য: আক্কাস উদ্দীন, আল আক্কাস ওভারসীজ; সদস্য: নসুরাত তামান্না, তামান্না ট্রাষ্ট ওভারসীজ; সদস্য: জনাব মোঃ হেলার উদ্দীন, পানাম ওভারসীজ; সদস্য: আরিফ বিল্লাহ, মাবরুব ওভারসীজ; সদস্য: জনাব নূরুজ্জামান, আল নুজাহহাত ওভারসীজ।

যাযাদি/ এস