দেশের শীর্ষ গ্রীণ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড কেআর শিপ রি-সাইকেলিং পরিদর্শনে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত 

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬

চট্টগ্রাম অফিস

দেশের মাত্র চারটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড গ্রীণ শিপইয়ার্ডে রূপান্তর হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র দেড় বছরে কেআর শিপ রি-সাইকেলিং ইয়ার্ড গ্রীণ শিপইয়ার্ডে রূপান্তর হয়। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি সনদও অর্জন করে। 


এ শিপইয়ার্ডে মাঝারি আকারের এক সাথে তিনটি জাহাজ বিভাজন করা যাবে অথবা বড় আকারের দুইটি। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সর্বাধুনিক উপকরণ ও প্রযুক্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বিদেশি পুরাতন জাহাজ বিক্রেতারা এ ইয়ার্ডে জাহাজ বিক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে। 

গতকাল সীতাকুÐের কেআর শিপ রি-সাইক্লিং ইয়ার্ডটি পরিদর্শন করেন ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন । 
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাহাজ ভাঙায় শীর্ষ একটি দেশ। আর জাহাজ ভাঙায় বাংলাদেশ আগের চেয়েও অনেক ভালো করছে। দশ বছর আগের শিপইয়ার্ড আর বর্তমানের শিপইয়ার্ডের কর্মপরিবেশ অনেক ব্যবধান। এখন জাহাজ ভাঙায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে। বাংলাদেশের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলো অনেক উন্নত ও পরিবেশবান্ধব। 

বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গ্রীণ শিপ ইয়ার্ড বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে কেআর শিপ রি-সাইক্লিং  ইয়ার্ডেও একটি। এটি পরিবেশ বান্ধব। আর জাহাজ কাটার সকল আধুনিক ব্যবস্থা এ ইয়ার্ডে রয়েছে। আশা করছি আগামীতে অন্যরা সবুজ ইয়ার্ডে উন্নিত হবে। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উপযোগী একটি ভালো দেশ। নরওয়ে শীর্ষ জাহাজ মালিকের দেশ। আমাদের বড় বড় জাহাজ মালিকরা এসব গ্রীণ শিপইয়ার্ডে জাহাজ বিক্রয় করবে। আর বাংলাদেশের অন্যান্য খাতের নরওয়ের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী।

এ বিষয়ে কেআর গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তসলিম উদ্দিন বলেন, সব ব্যবসায় ভালো সময় ও মন্দা সময় থাকে। এখন কিছুটা মন্দা পরিস্থিতি থাকলেও জাহাজ ভাঙায় বিপুল সম্ভাবনা আছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য দেড় বছর আগে গ্রীণ শিপ রি-সাইক্লিং ইয়ার্ডে রূপান্তরের কাজ শুরু করি। এ গ্রীণ শিপ রি-সাইক্লিং ইয়ার্ডের কাজে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এতে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশের প্রতিনিধিরা আমাদের ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বেড়েছে। 
গতকাল দুপুরের কেআর শিপ রি-সাইকেলিং ইয়ার্ড ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশে শিপব্রেকিং অ্যান্ড রি-সাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি 
আবু তাহের, মাস্টার স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের পরিচালক মাস্টার আবুল কাশেম, পিএইচপি ফ্যামিলি’র পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু, সিমনি শীপ রিসাক্লিং এর ডিএমডি সারতাজ মো ইমরান,  আরেফিন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক হোসাইনুল আরেফিন সহ আরো বেশ কয়েকজন শিপইয়ার্ড মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ের প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ইয়ার্ডের সামগ্রিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

যাযাদি/ এস