আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার মাহফিল ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর টিকাটুলির হাটখোলা রোডের গ্র্যান্ড দরবার রুফটপ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার ইউনাইটেড অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম তমিজি। এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিভাগীয় কার্যনির্বাহী স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ শপথগ্রহণ করেন এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতা, ন্যায়বিচার ও আইনি সুরক্ষার প্রতি তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি লাবলু মিয়া বলেন, "সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি দায়িত্ব ও কর্তব্য। সাংবাদিকদের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করতে হবে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুল আলম বলেন, "সংগঠন সর্বদা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে।"
সহ-সভাপতি -জামাল উদ্দিন বলেন, "সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, তাঁদের অবশ্যই সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকতে হবে।
"সহ-সভাপতি - এম. এস. শাহজালাল বলেন, "সাংবাদিকতার নীতি ও আদর্শ রক্ষায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"
সহ-সভাপতি কাজল বলেন, "আমাদের সংগঠন সর্বদা সাংবাদিকদের কল্যাণ ও আইনি সহায়তার জন্য কাজ করবে।" সাধারণ সম্পাদক - নারগিস জুই বলেন, "সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"
প্রধান সাধারণ সম্পাদক - আতিক ইসলাম বলেন, "সংগঠন সবসময় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে, আমাদের সবাইকে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে।"
সাংগঠনিক সম্পাদক -মাসুম ফারুকী বলেন, "সংগঠনের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য আমরা নিরলস কাজ করব।"
অর্থ সম্পাদক -আবু নাসির আহমেদ বলেন, "বিভিন্ন উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হবে।"
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক - পাভেল বলেন, "সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবিগুলো সমাজে প্রচারের জন্য গণমাধ্যম ও প্রকাশনার গুরুত্ব অপরিসীম।"
আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক - অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বলেন, "সাংবাদিকদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"
মহিলা ও শিশু কল্যাণ সম্পাদক - জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, "নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিতে হবে।"
সহকারী মহিলা ও শিশু কল্যাণ সম্পাদক - সাজনা বেগম বলেন, "নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে গণমাধ্যমের শক্তিশালী ভূমিকা থাকা উচিত।"
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক - তানভীর রায়হান বলেন, "সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।"
তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক - মিলন বলেন, "সাংবাদিকতার ডিজিটাল রূপান্তর এবং তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।"
কল্যাণ সম্পাদক - মাহবুবুর রহমান বলেন, "সাংবাদিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।"
সহকারী ক্রীড়া সম্পাদক - কাজী জাহাঙ্গীর বলেন, "সাংবাদিকদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য ক্রীড়া সুবিধা থাকা জরুরি।"
সাংস্কৃতিক সম্পাদক - ওয়াজেদ আলী বলেন, "সংগঠনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করতে কাজ করব।"
প্শিরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক - হাসিব রহমান বলেন, "সাংবাদিকদের জন্য দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।"
সহকারী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক - মামুনুর রশীদ বলেন, "সাংবাদিকতার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে সঠিক তথ্য প্রচার অপরিহার্য।"
সিনিয়র সাংবাদিক - এম. এ. মামুন ভূঁইয়া বলেন, "সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"
সাংবাদিক - মাকসুদুর রহমান মামুন বলেন, "সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও গবেষণা অপরিহার্য।"
নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রেস তালিকা ঘোষণা
নতুন প্রকাশিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রেস তালিকা-তে ২২ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই কমিটি সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করবে এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সকল সদস্য ও অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং ন্যায়বিচার ও সততার প্রতি অবিচল থাকার আহ্বান জানানো হয়।
মানবাধিকার ইউনাইটেড অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম তমিজি শপথ পাঠ করান। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই মহতী অনুষ্ঠান ইফতার ও নৈশভোজের মধ্য দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
যাযাদি/ এসএম