রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

রাজধানীতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিনজনের মৃত্যু

যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ জুলাই ২০২৪, ১৬:৪২
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পৃথক স্থানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পল্লবী ও কোতোয়ালি থানার সিএমএম আদালতের পাশে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মো. আলাউদ্দিন (২৭), মো. রাসেল (১৮), এবং মো. আইউব আলী (৪৫)।

আলাউদ্দিন ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার মেঘেরা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার সন্তান। আর রাসেল চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার কেলিশহর দারোগার হাট গ্রামের রতন দাসের সন্তান। দুজনেই পল্লবী এলাকায় থাকতেন। আর মো. আইউব আলী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার তারাবুনিয়া গ্রামের বেলায়েত শেখের সন্তান।

এর মধ্যে শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে পল্লবীর আজিজ মার্কেটের পাশে আসবাব কারখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান মো. আলাউদ্দিন (২৭) ও মো. রাসেল (১৮)। তারা তারা দুজনই আসবাব কারখানায় মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।

অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আব্দুল আজিজ বলেন, খবর পেয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ট্রলির ওপর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে আসবাব কারখানায় পানি জমে যায়। মালপত্র রেখে পানি সরানোর সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দুজন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবুও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এদিকে ঢাকারা আগরবাতি গলিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান মো. আইউব আলী (৪৫)। শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মধ্যরাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আইউব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, তার বাবা মিস্ত্রির কাজ করতেন। রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে ওই এলাকার পাশে আগরবাতি গলি এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে প্রথমে ন্যাশনাল হাসপাতাল অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে আমার বাবার মৃত্যু হয়।

কোতোয়ালি থানা উপ-পরিদর্শক(এসআই) রাজীব ঢালী জানান, খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে