রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

রাজধানীর শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট চরমে

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ জুলাই ২০২৪, ২১:০৬
-ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকার শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে দিনের অধিকাংশ সময় বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে গ্যাসের সরবরাহ প্রায় নেই বললেই চলে। কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের চুলা দিনের বেলা জ্বলে না।

তিতাস গ্যাস কোম্পানি কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রাখছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঝরাতে গ্যাসের চাপ থাকলেও সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নগরবাসী। এই চিত্র রাজধানীর শনির আখড়া, দনিয়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, কুড়িল বিশ্বরোড, নদ্দা, রামপুরা, মগবাজার, বেইলি রোড, ইস্কাটন, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনের।

বঙ্গনিউজবিডি24 ডট কম প্রধান উপদেষ্টা বজলুর রায়হান বলেন, গ্যাস সংকট মহা মারি আকার ধারণ করেছে। ঘরের মহিলারাই মহা সংকটে কারণ রান্না কাজতো তাদের করতে হয়।কোনো ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগে গ্যাস বন্ধের আগে জানিয়ে দিতো তিতাস। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

দনিয়া এলাকার বাসিন্দা আলী আহমেদ মিয়াজী বলেন গত ৪-৫ দিন যাবৎ লাইনের গ্যাস নেই। রাত ১১টার পর মাঝে মধ্যে আসে ভোরে চলে যায়। রান্না করতে অতিরিক্ত সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে জনজীবনে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনির আখড়ার বাসিন্দা মোসাঃ শাহানাজ আক্তার বলেন, খুব অশান্তি মধ্যে আছি। সারা রাত্রি অপেক্ষা থাকি কখন গ্যাস আসবে।

মিরপুর এলাকার গৃহিণী র্ঝনা বলেন, ‘আগে গ্যাস না থাকলে ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হতো। এখন ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস থাকে না। আগে সামান্য গ্যাস থাকলে চুলা জ্বালিয়ে টুকটাক কাজ চালানো যেত। এখন চুলাই জ্বলছে না। রাত ১০টা-১১টার পর গ্যাস আসে, আবার ভোরে চলে যায়। বাচ্চাদের খাবার-দাবার তৈরি নিয়ে খুব ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।

ট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় এখন একটি টার্মিনাল দিয়ে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কূপ থেকে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের। ফলে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে